বিশ্ববাজারে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ডলারের দরপতন ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার (১১ নভেম্বর) পতন ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে কমে আসায় দীর্ঘ ১৪ বছরের মধ্যে একদিনের সর্বোচ্চ দরপতন এটি।
যারা কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার আক্রমনাত্মক মাত্রায় বাড়ানোর সম্ভাবনা কমল। গত বৃহস্পতিবারের (১০ নভেম্বর) তথ্যে দেখা গেছে, অক্টোবরে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছিল।
জানুয়ারির পর থেকে এটি সর্বনিম্ন হার এবং মূল্যস্ফিতী ৮ শতাংশ বাড়ার যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল তার তুলনায় কম। এর আগে ২০১৫ সালের শেষের দিকে ডলারের সবচেয়ে বড় পতন হয়েছিল।
কারণ ওই সময় ডলারের সরবরাহ কমে যাওয়ায় অন্যান্য মুদ্রা- বিশেষ করে ইয়েন ও পাউন্ডের দাম বেড়েছিল। চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ চলতি সপ্তাহে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করার পর বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি কিছুটা কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে ডলারের সূচকের ওপর।
যখন স্টক, উদীয়মান বাজারের মুদ্রা ও পণ্যসহ ঝুঁকির সম্পদ বেড়েছে তখন শুক্রবার ডলারের সূচক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমল।
অবশ্য বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, মুদ্রাস্ফীতি ধীরগতিতে কমে আসলেও ঋণগ্রহীতাদের জন্য ইতিবাচক। মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনতে ১৮ মাস থেকে দুই বছরের মতো সময় লাগতে পারে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।